জেলেকে হরিণ শিকারী সাজানোর অভিযোগ কটকা অভয়ারণ্যের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মাসুম বিল্লাহ, শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
দাবীকৃত ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় নিরিহ জেলেকে হরিণ শিকারী সাজিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেষ্টার আবুল কালামের বিরুদ্ধে।
আটক জেলে আলম শেখের ছোট ভাই দুলাল শেখ লিখিত অভিযোগে জানান, তার বড় ভাই আলম শেখ দীর্ঘ দিন ধরে বনবিভাগের বৈধ অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ১৫ দিন আগে তিনি দুবলার চর এলাকায় মাছ ধরে গোন শেষে বাড়ীতে আসে এবং পুনরায় গোন শুরু হলে মাছ ধরার জন্য চলতি মাসের ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় চরদুয়ানী থেকে নৌকায় বরফ নিয়ে দুবলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। ১১ জানুয়ারী (সোমবার) কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কাছে পৌছালে কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেষ্টার আবুল কালাম সরকার তাকে নৌকা সহ আটক করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। বন কর্মকর্তার দাবীকৃত টাকা জেলে আলম দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবুল কালাম তার অফিসে মজুদ থাকা হরিণধরা ৪ হাজার পাঁচশত ফুট নাইলনের ফাঁদ দিয়ে তার ভাইকে হরিণ শিকারী সাজিয়ে বাগেরহাট কারাগারে (আদালতে) চালান করে দেন।
তবে, জেলে পল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় জানান, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে আলম শেখ (৬০) গত ১৭ ডিসেম্বর দুবলা অফিস থেকে মাছ ধরার বৈধ পাশ (অনুমতি) নেয় এবং গোন শেষে ২৩ ডিসেম্বর পাশ সারেন্ডার (অফিসে জমা) করে বাড়ী চলে যান।
অপরদিকে, কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফরেষ্টার আবুল কালাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ওই জেলেকে আটক করেছে আবুল কালাম সুতারং তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আপনারা তার সাথে যোগাযোগ করেন।
পাঠকের মতামত: