যেভাবে গ্রেফতার মজনু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। মাদকাসক্ত এই ব্যক্তি ছিনতাই-ডাকাতির পাশাপাশি ভবঘুরে ও প্রতিবন্ধীদের ধর্ষণ করতো। রাজধানীর বনানী রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানায় র্যাব। মজনু একাই মেয়েটিকে নির্যাতন করে বলেও দাবি র্যাবের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের পর দেশজুড়ে যখন তোলপাড়। আন্দোলন বিক্ষোভে যখন উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো দেশ। র্যাবের দাবি, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মজনু তখন নির্বিকার। ভবঘুরে এই ছিনতাইকারী ঘটনার দিন রাতে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে চলে যায় নরসিংদী। পরে ফেরত আসে ঢাকায়। ঘুরতে থাকে বনানী রেলস্টেশনে। বুধবার ভোরে এখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব বলছে, ৭ জানুয়ারি রাতে কুরাতলী এলাকা থেকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় খাইরুল নামে এক রিকশা চালকের হেফাজত থেকে। খাইরুল সেটি কেনে অরুনা নামে এক নারীর কাছ থেকে। অরুনার কাছে ফোনটি বিক্রি করে মজনু। সেই তথ্য ধরে গ্রেফতার করা হয় তাকে। উদ্ধার হয় শিক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য সামগ্রী।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদেরও সে ধর্ষণ করেছে। মজনু স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে একাই ছিল, ভিকটিমও স্বীকারোক্তি দিয়েছে মজনু একাই ছিল। ধর্ষণের জন্য সে আগেই ওৎ পেতে ছিল।
র্যাবের দাবি, হাতিয়ার নোয়াখালীর মজনু দশ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসে। হকারের কাজ করে এক পর্যায়ে ছিনতাইয়ের কাজ শুরু করে। হয়ে পড়ে মাদকাসক্ত। ঘটনার দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছ থেকে অনুসরণ করে শিক্ষার্থীটিকে।
কাশেম বলেন, সে পেশায় দিনমজুর ও হকার বললেও এর পাশাপাশি সে ছিনতাই ও চুরির মতো কাজ সে বিভিন্ন সময় করেছে।
গ্রেফতার মজনুকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে র্যাব বলছে অরুনা ও খাইরুলকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে কিনা সেটি সিদ্ধান্ত নেবে তদন্তকারী সংস্থাই।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, রেলস্টেশনের আশেপাশে যেসব মাদকের আখড়া রয়েছে সেগুলো আমরা আজকের মধ্যেই উচ্ছেদ করব।
বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা অংশে পর্যাপ্ত আলো না থাকা ও নির্জনতার সুযোগে প্রায়ই নানা অপরাধ ঘটে বলে স্বীকার করে নেন র্যাব কর্মকর্তাও।
পাঠকের মতামত: