সোমবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে গরু পালন করে শখে নাম কালো মানিক বর্তমান ২টনের বেশি ওজন

৪ জুন, ২০২৩ ৮:১৪:৪৪

এস.এম রুবেল আকন্দ:
কোরবানীর ঈদে হাঁট কাঁপাতে আসছে কালো মানিক
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া গ্রামে সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে বিশাল আকারের ষাঁড় ২টনের বেশি ওজন লালন পালন করে শখে নাম দিয়েছে কালো মানিক।

গত কোরবানীর ঈদে কালো মানিকের দাম হয়েছিল বিশ লাখ টাকা। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরো একবছর লালন পালন করে এ কোরবানীর ঈদে ৫০ মণ ওজনের কালো মানিক মালিকের দাবী ময়মনসিংহ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।

জানা যায়, এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালো মানিক। গত পাঁচ বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন ৫০ মণ। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় শখ করে এর নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। কালো মানিকের নাম আশ পাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারন মানুষতো বটেই দুর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে। দেখতে আসা অনেকেই ষাঁড়টিকে হাতির সাথে তুলনা করছেন।

কালো মানিককে দেখতে আসা এমদাদুল হক ও রাশিদুল ইসলাম জানান, গত বছরও কালো মানিক ষাঁড়টিকে দেখেছি, শুনেছি বিক্রি হয়নি। তাই এবারের ঈদে বিক্রি করা হবে, তাই দেখতে এলাম কত বড় হয়েছে কালো মানিক। কালো রংয়ের হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। তার আকৃতি এবং রঙ সবাইকে আকর্ষণ করে। আমার মত অনেকেই এ ষাঁড়টি দেখতে আসে। কালো মানিক এবারের ঈদে কার ভাগ্যে জুটে তা দেখার অপেক্ষায়।

কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, ‍“অনেক শখ করে গত পাঁচ বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন নেই। গত বছর ভাল দাম না পওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারিনাই। তবে এ বছর আশা করছি ভাল দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো।”

পশু চিকিৎসক কামাল উদ্দিন জনবাণীকে জানান, “আমি কালো মানিককে গত পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা করে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ষাঁড়টির মাংসও সুস্বাদু হবে বলে তার দাবি। এটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।”

উপজেলা পশু ও ভেটেনারী হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ জনবাণীকে জানান, “আমার উপজেলায় এ কালো মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত পাঁচ বছর ধরে খামারী এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করছে। কোন কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করে নাই। আমরা আশা করছি ষাঁড়টির মালিক ভাল মূল্য পাবেন।”

যোগাযোগের ঠিকানা, জাকির হোসেন সুমন মোবাইল ০১৭১১৩৬০৯০১

দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না


পাঠকের মন্তব্য:

সর্বশেষ

Selected poll is not defined.

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রাসেল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক : রাইতুল ইসলাম

প্রধান কার্যালয় : ১৬১/১/এ উলন, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯
মোবাইল : 01715674001
বিজ্ঞাপন : 01727338602
ইমেইল : [email protected], [email protected],

Developed by RL IT BD