সুজন মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিনিধি

রাঙ্গাবালীতে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন৷

২১ জুন ২০২৩, ১১:৩০:২৮

রাঙ্গাবালীতে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন৷

মোঃ সুজন মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী,পটুয়াখালী৷

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সরকারি খাল উন্মুক্ত করার জেরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দিন সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। জানা গেছে, ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আদালতে মামলাটি করা হয়। এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের স্লুইচগেট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনতা। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক অংশ নেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন,‘প্রায় ৩০ বছর ধরে খালটি দখল করে মাছ চাষ করছিল প্রভাবশালী চক্র। এতে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছিল। তাই দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে খালটি উন্মুক্ত করা হয়। আর একারণে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উন্মুক্তকারীদের বিরুদ্ধে দখলদার শহিদ খন্দকারের ইন্ধনে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা করে সবুজ খলিফা । তাই অনতিবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জুন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের ‘কাসেম খার ঢোস’ নামক সরকারি খাল দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। স্থানীয় হাজারও জনতার দাবির প্রেক্ষিতে সেদিন খাল উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ। এই খালের বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করার ঘটনায় পটুয়াখালী আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে একটি মামলা করা হয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ২৭ জনকে আসামি করা হয়। গত ১৮ জুন উপজেলার সোনারচর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য সবুজ খলিফা বাদী হয়ে মামলটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ২৮ একরের এ খালটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিল তাদের সমিতির সদস্যরা। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ মার্চ পটুয়াখালী কালেক্টরের কাছ থেকে ইজারা নেন। তাদের এই মাছ চাষের সফলতা দেখে উপজেলা চেয়ারম্যান ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ৭ জুন খালটির বাঁধ কেটে দেন আসামিরা। ফলে বাগদা, গলদা, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদী ভেসে গিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, চরমোন্তাজ ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বেল্লাল খান, সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া, হালেম খান, আনোয়ার দস্তুর, জালাল খা ও শাহ আলী মৃধা। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে খালটি গুটি কয়েকজন লোক দখল করে মাছ চাষ করছিল। যার কারণে স্থানীয় কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছিল। তাই স্থানীয় লোকজন খালটি উন্মুক্ত করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দখলদাররা আমাকেসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। এই মামলার আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

পাঠকের মন্তব্য: