প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

সংবাদ প্রকাশের পর সেই শিশু লামের পরিবারের পাশে দাড়ালেন ইউএনও

২৬ জুলাই ২০২৩, ১:৩২:৫৯

বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

দৈনিক আলোর প্রতিদিন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর নীলফামারীর ডিমলায় সেই শিশু লামের পরিবারের পাশে দাড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন। ২৫ জুলাই ২০২৩“ ডিমলায় বাদাম বিক্রিতে চলে শিশু লামের পরিবার” শিরোনামে দৈনিক আলোর প্রতিদিন পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশ হয়।

খবরটি দৃষ্টিগোচর হলে ইউএনও লামের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে তার অফিস কক্ষে লাম ও তার বাবাকে ডেকে এনে লামের লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন এবং নগদ ৫শত টাকা মানবিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। লাম আবারও স্কুলে ফিরবে এই আনন্দে সে আত্মহারা। নির্বাহী কর্মকর্তার এই মহানুভবতাকে সকলে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

লাম ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নাউতারা গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে। নাউতারা এম.ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র। কিছুটা বুঝতে শেখার পর সংসারে দুঃখ লাঘব করার জন্য সে স্কুল ব্যাগ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছে বাদামের গামলা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে উড়ন্ত বয়সে দুরন্তের সময় শিশু লামের হাত বাদাম বিক্রেতা।

লামের বাবা সহিদার রহমান বলেন, লামের বয়স যখন ৭ মাস ঠিক তখনই তার মা লাইজু আক্তার মৃত্যুবরণ করেন। অনেক কষ্টে লামের বাদাম বেচা টাকা দিয়েই এক আধবেলা খেয়ে না খেয়ে আমাদের সংসার চলছে। সে ডালিয়া তিস্তা ব্রীজ এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর পরই আমি লামের বাবার সাথে যোগাযোগ করি এবং লামের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে লামকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে লামের লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নিয়েছি।

দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

পাঠকের মন্তব্য: