সুজন মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিনিধি

ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী সুরাইয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:১০:১৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সুরাইয়া আশরাফের স্বপ্ন পড়া লেখা শেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। অনেকদিন আগেই তার বাবা মারা গেছে। তিনবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সুরাইয়া আশরাফ মেধাবী হওয়ায় শিক্ষাবৃত্তি এবং আত্মিয়স্বজনের সহযোগীতায় পড়ালেখা চালিয়ে আসছে। পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরি নিয়ে তার মাকে সেবা করবে পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতার মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সার সুরাইয়া আশরাফের সেই যাত্রা পথের প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অসুস্থতার বাঁধা ডিঙিয়ে বাঁচতে চায় সুরাইয়া আশরাফ।

সুরাইয়া আশরাফ কুষ্টিয়া শহরের নতুন কোর্টপাড়া এলাকার মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে। সুরাইয়া আশরাফ ছোট থাকতেই তার বাবা মারা যান। তার মা খুব কষ্ট করে তাকে পড়ালেখা শিখিয়ে আসছে। মেধাবী হওয়ায় সুরাইয়া আশরাফ শিক্ষাবৃত্তি কোনরকমে পড়ালেখা চালিয়ে আসছে। মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ঢাকার মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত কোন রকমে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে গেলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আর পারছেন না। চিকিৎসকরা জানান, সুরাইয়া আশরাফের চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। তাঁকে বিদেশে তথা ভারত বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। যা ব্যায়বহুল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যিালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সুরাইয়া আশরাফ। হঠাৎ কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় সুরাইয়া আশরাফ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

সুরাইয়া আশরাফের মা শামীমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমার দ্বিতীয় মেয়ে সুরাইয়া আশরাফ লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী ও মেধাবী। শিশু থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ভালো রেজাল্ট ছিলো। আমার মেয়ে বরাবই বলতো, সে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে তার ভূমিকা থাকবে। কিন্তু আমার সেই মেয়ে আজ মৃত্যুর প্রহর গুণছে।

তাই সুরাইয়া আশরাফের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন তার মাতা শামীমা আক্তার। এক্ষত্রেে সমাজের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে সুরাইয়া আশরাফকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে, হয়তো মধোবী এই শিক্ষার্থী আমাদরে মাঝে ফিরে আসতে পারবেন সুস্থ হয়।

যোগাযোগের নম্বর:

অভিভাবক : ০১৭১৪-৫১৭৯৭১

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার:

সোনালী ব্যাংক : ৩০১৭১৩৪১০০৭৮৫

ডাচ বাংলা ব্যাংক: ১৬৮.১০৩.৪৭১৭৪

দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

পাঠকের মন্তব্য: